রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে ফার্ম”গেট অন্নতম। দিনের বেলায় মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ এলা’কা তাই দেখে হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায় না।কিন্তু রাতের নিরব’তা যত বাড়ে, ততই এই এলাকায় আনাগোনা বাড়ে দেহ ব্যবসা”য়ীদের।
খদ্দেরের খোঁজে বোরকা পড়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের রাস্তা’র ধারে। গত শনিবার এবং রবিবার মধ্যরাতে সরেজমিনে ফার্ম’গেটে গিয়ে দেখা যায়, খদ্দেরের খোঁজে বোরকা পড়ে এখানে-সেখানে অপেক্ষা করছেন পতি’তারা। তাদের পাশেই সারি-সারি সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে। খদ্দের এসে প্রথমে দামা”দামি করে।
এরপর চূড়ান্ত হলে নিয়ে যায় সি’এন’জি করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ মানুষকেও বিরক্ত করে। নিবি,লাগ’বে বলে বিভিন্ন ইশারা দেয় তারা। এতে অনেক পথচারীও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। সো’হেল হাসান নামের একজন পথচারী বলেন, ওরা সুযোগ বুঝে ইশা’রা দেয়, নানান রকম অশ্লীল কথাও বলে।
সাংবাদিক পরিচয় গোপন রে’খে কথা হয় নিতু নামের এক পতিতার সঙ্গে। সদ্য এ পথে পা বাড়ি’য়েছে বলে দাবি তার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবেবাড়ি বলে জানান নি’তু। তিনি বলেন, আমি যে এ পেশায় আছি তা আমার পরিবারের কে’উই জানে না। টাকার অভা’বেই এ পেশাই আসছি। এত পেশা থাকতে এ পেশায় আস’লেন কেন,
এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তরই দেন’নি তিনি। নিতু জানায়,আধা ঘন্টার জন্য নিয়ে গেলে ৫০০ টাকা আর পুরো রাতে’র জন্য নিয়ে গেলে ১ হাজার টাকা নেই। আমি রাতেই ফার্মগেটে আসি। হোটে’লে বা খদ্দেরের বাসায় যেয়ে কাজকরি।
তার দাবি, খদ্দের অনেক”সময় ৫০০ টাকার কথা বলে নিয়ে যায় কাজ শেষে ২০০ বা ৩০০ টাকা দেয়। প্রতি’বাদ করলেও লাভ হয়না। আবার মাঝেমধ্যে অনেকে আরও কম টাকাও দে’য়। নিতুর সাথে কথা বলে সামনে এগুতেই দেখা যায়, আরও চার পতিতা এক সঙ্গে’ই বসে আছেন।
বিভিন্ন সিএনজি তাদের সামনেই থামে, মাঝে-মধ্যে সি’এন’জি চালকদের সাথেও খোশ’গল্পে মাতে তারা। জানা যায়,ফার্মগেটে সাধারণত পতিতা’রা বিকেল থেকে সন্ধ্যা বা রাতেই আসে। কেউ কেউ আবার মধ্যরাতেও বের হয়। স’কাল হলেই ফেরে ঘরে। শাহীন নামের একজন ভ্যনচালক বলেন,
আমি এই জায়’গাতে ভ্যান’চালাই গত চার বছর ধরে। এদেরকে (পতিতা) প্রতি রাতেই দেখি। ভো’রে আবার চলে যায় তারা। তিনি বলেন, এদের সি’এন’জি চাল’কও ঠিক করা থাকে। খদ্দের ঠিক হলেই সিএনজি করে চলে যায়। অনেক সময় সি’এন’জি’তেই তারা এ কাজ করে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেক ভ্যান’চালক বলেন, এদের মধ্যে কিছু প্রতারকও থাকে।
তারা সিএনজিতে নিয়ে খদ্দের’কে প্রতারণা করে, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। মান-সম্মানের ভয়ে অনে’কেই তা প্রকাশ করে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ওসি ব’লেন, আমাদের কাছে এরকম (ছিনতাই) অভিযোগ আসেনি। অভি’যোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। পতিতাদের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে অনেক অভি’যান চালানো হয়েছিল, এরপর আর তাদের দেখা যায়’নি। মধ্য”খানে তারা আবার হয়তো এসেছে, আজ রাতেই আবার অভি’যান চালাবো।